থিংকিং আউট লাউড

ক) ফেসবুকে সারাদিন বসে থাকা বাংলাদেশী লোকদের দুইটা গ্রুপ দেখা যায়—

১) বয়স্ক, যাদের ক্যারিয়ার অলরেডি স্যাটেলড। অথবা, কবি-সাহিত্যিক বা দার্শনিক টাইপ লোকজন।
২) অল্প-বয়স্ক, যাদের ক্যারিয়ার নিয়া তেমন চিন্তা-ভাবনা নাই।

বয়স কম এবং ক্যারিয়ার ফোকাসড লোকের ভেতরে যারাই এখানে আসছে, তাদের একটা বড় অংশ আসে ভার্সিটির ফেসবুক গ্রুপের একটিভিটস দেখতে। বাকীরা হতাশা কাটাতে কিংবা বিনোদন নিতে আসে।

বয়স কম এবং ক্যারিয়ার ফোকাসড, এধরনের পাবলিকরা ফেসবুকে সারাদিন বসে থাকে না (বা একটু পর পর ফেসবুক চেক করে না)।

খ) একজন মানুষ বাস্তব জীবনে যত বেশী সফল ও পরিচিত, ফেসবুকে সে ততই অসফল (লাইক/কমেন্টের বিচারে) ও অপরিচিত। তবে, কবি-সাহিত্যিক-থিংকার-দার্শনিক ও সেলিব্রেটিদের ব্যপারে এটা উলটা।

গ) ফেসবুকের বেশীরভাগ ভালো লেখকদের কেউ লাইক/কমেন্ট দেয় না। এতে তারা উৎসাহ হারিয়ে লেখা অফ করে দেয় এখানে। ফেসবুকের অডিয়েন্স তাদের উপযোগী না। লেখক-চিন্তকদের জন্য আলাদা প্লাটফর্ম থাকা জরুরী।

ঘ) ফেসবুকে হতাশ পাবলিক বেশী। একারণে এখানে মোটিভেশনাল স্পিচের মার্কেট ভালো। সুডো বিপ্লবও এখানে ভালো জমে।

ঙ) সিরিয়াস নেটওয়ার্কিং এর জন্য ফেসবুক ভুল জায়গা।

চ) রাজনৈতিক নেতাদের জন্য ফেসবুক বিপদজনক জায়গা। একটিভিস্ট ও ছাত্রনেতাদের ভালো জায়গা।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।