মশারা দিন দিন বুদ্ধিমান হইতেছে। এই বুদ্ধিমান মশাদের নির্মূলের সবচাইতে ইফেক্টিভ পদ্ধতি হইতেছে শলার ঝাড়ুর ট্রিটমেন্ট, ঝাড়ুফাই। পদ্ধতিটা এরকম- একটা শলার ঝাড়ু পাশে নিয়ে বসবেন। মশা দেখা মাত্রই সপাং...
তো, হাতের কাছে একটা ঝাড়ু রাখছি। কিছুক্ষন পর পর চেয়ারসহ পেছনে চলে যাই আর পায়ের কাছের সব মশা মেরে ফেলি। ভালোই চলছিলো। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম মশারাও আমার চেয়ারের সাথে সাথে পেছনে চলে যায়। সুতরাং চেয়ার থেকে নেমে চেয়ারের নিচে ঝাড়ুফাই করে মশা মারা শুরু করলাম। কিছুক্ষন পর তারা সেটার প্রতিকারও বের করে ফেললো। আমি পেছনে আসলে তারা এসে আমার গায়ে বসে যায়। এখন কি আমি নিজেকে ঝাড়ু দিয়ে বাড়ি দেব? কি মুসিবত!
যাহোক, ঝাড়ুর বদলে হাত দিয়ে কিছুক্ষন মারলাম। এভাবে কয়েকদিন চলার পর দেখি ঝাড়ু হাতে নিলেই মশারা সব দরজা দিয়ে দৌড়ে পালায়। এখন কি আমি ঝাড়ু হাতে নিয়ে বসে থাকবো?
তারপর একদিন খেয়াল করলাম, আমার রুমে কোন মশা নাই। সব রুমে মশা আছে আমার রুমে নাই। মশারা বুদ্ধিমান না হইলে এই সুবিধা আমি ক্যামনে পাইতাম? এজন্যই কবি বলেছেন, ভুদাই বন্ধু থিকা বুদ্ধিমান শত্রু ভালো।