#প্যারেন্টিং - ১৮
তাতিয়ানা হঠাৎ কোত্থেকে যেন সবকিছু নিজের বলে ঘোষণা করতে শিখে গেছে। যেগুলো তার নিজের সেগুলোকে সব 'আমার' বলতে শুরু করেছে। 'আমার বই', 'আমার খেলনা' ইত্যাদি ইত্যাদি। আগে সে সবকিছু শেয়ার করতো। নিজের জিনিষ অন্যেরা ধরতে পারবে না, এরকম কোন ধারণা ওর ছিলো না। কোথাও বেড়াতে গিয়ে এই ব্যপারটা তার ভেতরে ঢুকে গিয়েছে। ব্যপারটা নোটিশ করলেও কিছু বলিনি। সরাসরি বললে কাজের কাজ কিছু হবে না।
মাঝে মাঝে সে আমার ফোন নেয় খেলতে। ঐদিন রাতে এসে বলছে- 'বাবা, আমার ফোন দাও'। আমি বললাম, 'এটা তোমার ফোন?' সে একটু থমকে গেল। মিনিট খানেক চুপচাপ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি যেন ভাবলো। কোন একটা জিনিষ নিজের না হলেও অন্যকে দেয়া যায় কিনা, নিজেরটা অন্যের সাথে শেয়ার করা যায় কিনা.... এসব ভাবছিলো হয়তো। আমি আবার বললাম- 'এটা কার ফোন বলো?' সে এবার হেসে বলে, "বাবার ফোন। আমার বাবার ফোন..."। ফোনের নেটওয়ার্ক অফ করে দিলাম ওর হাতে।
আমার খেলনা, আমার এটা/আমার ওটা... এগুলো বাচ্চাদের ভেতরে ঢুকে গেলে বিপদ আছে। স্বার্থপর হয়ে যাবে। বাচ্চাদের স্বার্থপর বানাবেন না। বাচ্চাদের স্বার্থপর বানানোর ফল সবার আগে আপনি নিজে ভোগ করবেন, তারপর বাকী জীবন সে নিজে ভোগ করবে। দীর্ঘমেয়াদে স্বার্থপররা কখনো জেতে না। খালি হারায়। তারা এটা বুঝতে পারে না।