#প্যারেন্টিং - ১৬
যেকোন সংস্কৃতিতে Conception of cleanliness একটা খুব গুরুত্বপূর্ন জায়গা। আমাদের দেশের বেশীরভাগ মানুষ সংস্কৃতি বলতে শুধুমাত্র নাচ/গান-নাটক/সিনেমা বুঝে থাকে (সংস্কৃতি বা কালচার বোঝার জন্য একটা লিংক দিলাম কমেন্টে), ফলে এই পরিচ্ছন্নতার ব্যপারটা তারা আমলে নেন না। বাচ্চাদের শেখান না। একারণেই মানুষ রাস্তা-ঘাটে চিপসের প্যাকেট ফেলতে দ্বিধা করে না। একারণেই দেখবেন বেশীরভাগ এলাকার রাস্তাঘাট, ঘর, দোকান.. সব কত নোংরা। একারণেই এদেশের পাবলিক টয়লেটগুলোতে আপনি কখনো ঢুকতে পারবেন না।
তাতিয়ানাকে আজকে কিছু পরিচ্ছন্নতা জ্ঞান দিলাম। শুরু করেছি ঘর থেকে। প্রথমেই ঘুম থেকে ওঠার পর দাঁত ব্রাশ, বেসিনের ব্যবহার ও ওয়াশরুম পরিস্কার রাখা যায় কিভাবে দেখালাম। অল্প কথায় পয়েন্ট আউট করি-
১) বেসিন ব্যবহারের সময় অবশ্যই পানি বাইরে ছিটকে আসতে পারবে না
বেসিনের পারপাসই হচ্ছে পানির সুন্দর ড্রেনেজ নিশ্চিত করা। বেসিন ব্যবহার করার সময় যদি পানি বাইরে ছিটকে পড়ে, তাহলে বেসিনের সঠিক ব্যবহার হলো না। বেসিন শান্তভাবে ব্যবহার করতে হবে। অপ্রয়োজনে ট্যাপ ছেড়ে রাখা যাবে না।
২) ওয়াশরুমের ফ্লোরে পানি ফেলা যাবে না
ওয়াশরুমে এমনিতেই জীবানু বেশী থাকে। ফ্লোরে পানি ফেলে স্যাঁতস্যাতে করে ফেললে সেখানে আরো বেশী জীবানু জন্মে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ব্যবহারের জন্যও অস্বস্তিকর। ওয়াশরুমের ফ্লোর সবসময় শুকনো রাখতে হবে। কখনো ভুলক্রমেও যদি পানি পড়ে যায়, মপ দিয়ে সেটা মুছে ফেলতে হবে। যাদের ওয়াশরুমে গোছল করার জন্য আলাদা করে জায়গা নেই তারা প্রতিবার গোছলের পর ফ্লোর মপ করতে পারেন।
৩) টয়লেট টিস্যুর ব্যবহার ও কমোড ফ্লাশ ব্যবহার করা
টয়লেট টিস্যুর সঠিক ও পরিমিত ব্যবহার গুরুত্বপূর্ন। এখানে পরিমিতিটা যেহেতু ব্যক্তির আর্থিক অবস্থার সাথে সম্পর্কিত, তাই পরিমানটা উল্লেখ করলাম না। কমোড ব্যবহারের পরে অবশ্যই ফ্ল্যাশ করতে হবে।
৪) ওয়াশরুমে বেশী সময় অবস্থান অস্বাস্থ্যকর
জায়গাটা জীবানু পরিবেষ্টিত। তাই ওখানে যত কম সময় অবস্থান করা যায় তত ভালো। টিনেজদের ওয়াশরুমে মোবাইল নিয়ে ঢোকার ব্যপারে গাইডলাইন প্রয়োজন। মোবাইল নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলে সময় খেয়াল রাখা কঠিন। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য এটা একটা গুরুত্বপূর্ন সমসাময়িক ব্যপার।