রিক্রুটমেন্টের জন্য বিডিজবস থেকে ফেসবুক বেশী কাজের দেখা যাচ্ছে। রিক্রুটমেন্টের জন্য একজন মানুষের স্কিল যতটা গুরুত্বপূর্ন, তার ব্যক্তিত্ব ততটাই গুরুত্বপূর্ন। ফেসবুক প্রোফাইলের দিকে তাকালে একজন মানুষ সম্পর্কে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন। একারণে, রিক্রুটমেন্টের জন্য ফেসবুক একটা ভালো জায়গা মনে হলো।

তবে, যারা চাকরী খুঁজছেন তাদের এই বিষয়ে কিছু কোর্স করা উচিত। মানে, কিভাবে আপনি নিজেকে তুলে ধরবেন, কিভাবে কথা বলবেন, কি বলা উচিত না কি বলা উচিত এসব জানার জন্য। ২০০২ সালে আমার জীবনে প্রথম রিক্রুটমেন্টের অভিজ্ঞতা হয়েছিলো। হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বানিয়েছিলাম একটা... যেখানেই সেটা দিতাম সেখানেই ওটা চালানোর লোক নিয়োগ করার সময় ভাইবা বোর্ডে আমাকে থাকতে হতো এবং বেশীর ভাগ প্রশ্ন আমাকেই করতে হতো। এরকম বেশ কিছু ইন্টারভিউ বোর্ডে থাকার পর রিয়েলাইজ করেছিলাম- এই দেশে চাকরীর কোন অভাব নাই, অভাব যোগ্য লোকের। সবচাইতে দুঃখের ব্যপার ছিলো এটা যে- উচ্চশিক্ষিতদের ভেতরে অযোগ্য লোক বেশী। বিশেষ করে কমিউনিকেশন স্কিল নাই বললেই চলে তাদের। এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কিছু শেখাতে পারুক আর না পারুক, মানুষের ভেতরে অযৌক্তিক ইগো আর অহংকার ঢুকিয়ে দিতে পারে যেটা বেশীর ভাগ লোককে নিয়োগ অযোগ্য করে তোলে।


আইটি ইন্ড্রাস্ট্রির অবস্থা এই ক্ষেত্রে অনেক ভালো। এখানে যোগ্য লোক আছে অনেক, কিন্তু তাদের বেশীর ভাগই জানে না কিভাবে নিজের যোগ্যতা তুলে ধরতে হয়। এই জায়গাটায় মনোযোগী হতে পারলে দেশী ও আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের ছেলে/মেয়েরা অনেক ভালো করতে পারতো। বিশেষতঃ আমাদের দেশে এভারেজে ব্রিলিয়ান্টের সংখ্যা বেশী। তাদের শুধুমাত্র একটু গাইডলাইন দরকার।

সফটওয়্যার ইন্ড্রাস্ট্রিতে যারা কাজ করতে চান (বিশেষ করে প্রোগ্রামিং লাইনে) তাদের প্রতি আপাততঃ একটা অনুরোধ- আপনারা অবশ্যই নিজে নিজে অনেক প্রজেক্ট করবেন এবং সেগুলোর কিছু কিছু অবশ্যই গিট হাবে রাখবেন। জব পাওয়ার জন্য এটা অনেক কাজে দেয়।


এই ইন্ড্রাস্ট্রিতে জব পাওয়ার টিপস এবং সাজেশন নিয়ে একটা গ্রুপ করবো ভাবছিলাম... কিন্তু গ্রুপ করার পর দেখা যায় আমি ছাড়া আর কেউই টিপস বা সাজেশন দিতে আগ্রহী হয় না। একা আমার পক্ষে তো এত সময় নিয়ে এধরনের একটা গ্রুপ চালানো সম্ভব না। তবে, কেউ যদি টিপস বা সাজেশন চান, ইনবক্স করতে পারেন। হয়তো সাথে সাথে জবাব দিতে পারবো না কিন্তু দেরীতে হলেও যতটুকু সম্ভব সাহায্য করবো।


যারা ইনবক্স করেছেন ও মেইল করেছেন, তাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।