বইয়ের নামটা ইন্টারেস্টিং লাগায় পড়তে শুরু করেছিলাম। লেখক ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের একজন প্রফেসর। বেশ কিছু গবেষণা লব্ধ তথ্যের রেফারেন্স তিনি দিয়েছেন।



ইন্টিলিজেন্স, সাকসেস, এবং হ্যাপিনেসের ভেতরে প্যারাডক্সিক্যাল সম্পর্ক নিয়া মূলত বইটা। এই বিষয়গুলো নিয়া প্রচলিত ধ্যান-ধারণাগুলোর ভুলটা ঠিক কোথায়, সেসব নিয়ে অনেক আলাপ আছে। এগুলোর ভেতরে যে কোরিলেশনটা পাবলিক ধারণা করে, সেটা তো আসলে ঠিক না।

লোকে যে ভাবে সাকসেসফুল হয়ে জীবনে হ্যাপিনেস নিয়ে আসবে, ঘটনাটা আসলে উলটা ঘটে। হ্যাপিনেস থাকলেই বরং সাকসেসের দেখা পেতে সহজ হয়। যে কারণে 'দেখাইয়া দিমু' মানসিকতা সমস্যাজনক। মানে আপনি ভাবতেছেন জীবনে অনেক বড় কিছু হয়ে দেখাইয়া দিবেন তারপর সুখ, ব্যাপারটা আসলে তার উলটা।
অন্যদের সাথে নিজেরে তুলনা করা কেন ভুল, সেই আলাপও সুন্দরভাবে আছে বইটায়। সুপেরিওরিটির ট্রাপে না পড়তে বলছেন তিনি।

অতি প্যাশিওনেট হওয়া যে সমস্যাজনক, সেটা নিয়াও আলাপ আছে। কাজের বাইরেও যে একটা জীবন আছে, শেষ জীবনে এসে বিল গেটটস সেটা রিয়েলাইজ করেছে (কিছুদিন আগে তিনি এই রিয়েলাইজেশন নিয়ে বলেছিলেন)। আবার ইন্টিলিজেন্স, সাকসেস, এবং হ্যাপিনেসের বিষয়ে আমাদের অনেক ভুল ধারণা আছে। এ বিষয়ে জীম ক্যারির একটা কোট আছে। “I think everybody should get rich and famous and do everything they ever dreamed of so they can see that it's not the answer. ― Jim Carrey”

আরো বহুকিছু নিয়া আলাপ আছে। এক কথায়— ভালো ছিলো, পড়তে পারেন।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।