ভোরে ঘুম থেকে উঠার পর আরো ৩০ মিনিটের মত শুয়ে থাকি এবং সারাদিনে কী করবো কিভাবে করবো তা নিয়ে ভাবি। আজকের ভাবনার বিষয় ছিলো ফুড ব্লগিং ও ফুড ক্রিটিক। টাউন-সেন্টারের ট্রাভেল সেকশানের একটা বড় অংশ বিভিন্ন দেশ ও এলাকার কালচার নিয়ে। ফুড তো কালচারের একটা অংশ। এক্সপ্লিসিট (Observable) এসপেক্ট অব কালচারে খাবার ও রন্ধনপ্রণালী (Food and cuisine) অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের খাবার ও সেগুলোর রন্ধনপ্রণালী/রেসিপির ডাটাবেস বানাচ্ছি আমরা অনেকদিন ধরেই। টাউন-সেন্টার যারা ব্যবহার করবে তারা এই ডাটাবেসে ফ্রি একসেস পাবে এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবে। আজকে ভাবছি ফুড রিকমেন্ডেশন সিস্টেম যুক্ত করা যায় কিভাবে।
বিষয়টা এরকম হবে যে— আপনি কোন একটা এলাকায় গেলেন আর সেখানকার কোন খাবার কেমন লাগলো সেটা শেয়ার করলেন। ফলে আপনার দেশ থেকে অন্য কেউ যখন একই এলাকা ভ্রমণে আসবে, তাদের জন্য খাবার খুঁজে পেতে সহজ হবে। যেমন চীনে গিয়ে একজন আমেরিকান কোন কোন ফুড আমেরিকানদের টেস্টের সাথে যায় সেটা রেকমেন্ড করে রাখলো। একজন বাঙালিও তাদের স্বাদ ও রুচির সাথে মিলে এরকম খাবার রেকমেন্ড করলো। ফলে একজন আমেরিকান বা বাঙালি চীনে গেলে অন্য আমেরিকান বা বাঙালি ভাইদের রেকমেন্ড থেকে সহজে খাবার খুঁজে বের করতে পারবে। এই ফিচার ফুড ব্লগিংরে একটা অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
২৪৭ টা দেশের ১০ হাজার সিটিতে আমরা টাউন-সেন্টার তৈরি করবো। বেঁচে থাকলে এই ২৪৭টা দেশের সবগুলোতে একবার করে হলেও যাওয়ার ইচ্ছা আছে। ভাবছি এই ফুড ব্লগিং এখন থেকেই শুরু করে দেব কিনা। মানে যেখানেই গেলাম সেখানকার সকল ফুড ট্রাই করার চেষ্টা করলাম। অন্তত জনপ্রিয় ফুডগুলো। তারপর রেকমেন্ড করলাম। আপাতত নোটবুকে টুকে রাখলাম, পরে টাউন-সেন্টারে এন্ট্রি দিয়ে দিলাম।
আমার এই পোস্ট যাদের নজরে পড়েছে তারা নতুন কোন এলাকায় গিয়ে সেখানকার ফুড ট্রাই করলে নিজের অভিজ্ঞতা নোট করতে পারেন। কিছুদিন পর এই নোট থেকে টাউনসেন্টরে আপডেট দিতে পারবেন। এটা আপনাকে যেমন বিশ্বব্যাপি পরিচিত করে তুলবে তেমনি অন্যরাও উপকৃত হবে। এই ডাটাগুলো আমরা ফ্রি ডিস্ট্রিবিউট করবো, ফলে কোটি কোটি লোকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে।