আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের কারণে আমাদের প্রজন্মের ভেতরে জ্ঞানী ও মূর্খের দুরত্ব খুব দ্রুত বাড়বে, এমনটাই আমার আশঙ্কা। ChatGPT-র কথাই ধরেন। যে ঠিকঠাকমত প্রশ্ন করতে পারে তার কাছে এটা একটা ওয়ান্ডার, যারা প্রশ্ন করতে পারে না তাদের কাছে— Meh!
জ্ঞানের সাথে প্রশ্নের সম্পর্ক গভীর। প্রশ্ন করতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। এটা এভাবেও বলা যায়— যার জ্ঞান যত গভীর সে তত গভীরে যেতে পারে প্রশ্নের ক্ষেত্রে। যারা প্রশ্ন করতে করতে যত গভীরে যেতে পারবে তারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে আরো দ্রুত আরো জ্ঞানী হয়ে উঠবে। যারা পারবে না, তারা আরো দ্রুত পিছিয়ে পড়বে।
আমার আরেকটা অনুমান হচ্ছে— আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের কারণে মানব-সভ্যতা জ্ঞান-বিজ্ঞানে পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। তথ্য জানার ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের উপর নির্ভরশীল হয়ে গেলে ভবিষ্যত প্রজন্ম প্রশ্ন করা শিখবে না। কারণ, তারা সব রেডিমেড উত্তর পাবে, নিজেরা চিন্তা করা শিখবে না। ফলে, প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে গভীরে যেতে পারবে না। এভাবে ধীরে ধীরে জ্ঞানীদের সংখ্যা কমতে কমতে নাই হয়ে যাওয়া আশঙ্কা আছে।
এধরনের বিপদ থেকে বাঁচার জন্য জ্ঞানীদের সংঘ বা ক্লাব তৈরি জরুরী, যার অন্যতম উদ্দেশ্য হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের এই পরোক্ষ বিপদ থেকে কিছু লোকরে হলেও রক্ষা করা।
কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।