একটা 74km (45 mile) গতির ঝড়রে সুপার সাইক্লোন/সিডরের চাইতে ভয়ংকর ঝড় বলে প্যানিক সৃষ্টি করা লোকজনের হয়তো মন খারাপ হয়ে যাবে এই নিউজ দেখে।
পাবলিক প্যানিক সৃষ্টি করতে পছন্দ করে। ব্যাড নিউজ স্পেড করা অনেকের কাছেই একটা বিনোদন। খেয়াল করলে দেখবেন— কোথায় কে মারা গেল, কার সর্বনাশ হয়ে গেল, এইসব নিউজ জনে জনে বলে বেড়াতে ভালোবাসে অনেকে। বিশেষ করে কাজের বুয়াদের খুব প্রিয় টপিক এগুলো। হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে হালকা স্টাডি করলেই এর ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।
একাডেমিক স্টাডি বাদ দিলেও এই ব্যাপারটা নিয়া দেশী বিদেশী বহু লেখকের গল্প-উপন্যাসে আলাপ পাবেন। আমাদের হুমায়ূন আহমেদের একটা গল্পে এরকম কাহিনী ছিলো যে— একটা মেয়ে সুইসাইড এটেম্প নেয়ার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। মেয়েটা মারা যায়নি দেখে আত্মীয়-স্বজনদের মন খারাপ হয়ে গেছে… এরকম একটা বর্ণনা।
অনেক ঐতিহাসিক বিষয়েও এর বহু নজীর দেখতে পাবেন। এই যেমন বারোমুডা ট্রায়াঙ্গল। এখনো বহু লোক বিশ্বাস করে বারোমুডা ট্রায়াঙ্গল সত্যিকার জিনিষ। এটা নিয়া আমার একটা লেখা আছে, লিংক কমেন্টে।
যাহোক, এই পাবলিক সাইকোলজি সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরী। কোন বিষয় বিশ্লেষন করা, ইতিহাস স্টাডি থেকে শুরু করে ব্যাক্তিগত জীবনে স্ট্রেস কমানোতেও এই সচেতনতা কাজে লাগে।