প্যারেন্টিং - ৫৫
বড়দের সাথে আপনারা ঠিক যেভাবে মনোযোগ ও গুরুত্ব দিয়ে আলাপ করেন ও আড্ডা দেন, বাচ্চাদেরকেও একইরকম গুরুত্ব দিবেন। এটা তাদের আত্ম-বিশ্বাস বাড়াবে এবং চিন্তাশীল হতে সাহায্য করবে।
তবে, বড়দের সাথে যা যা বলা যায়; বাচ্চাদের সাথে তার সব বলা যাবে না। এই যেমন— বাচ্চাদেরকে পৃথিবীর খারাপ ও জটিল বিষয়গুলো বলবেন না। মানুশ সম্পর্কে খারাপ ধারনা দিরেন না। তারা জানতে চাইলেও না।
আজকে বিদ্যুৎ কেন চলে যায় জানতে চাচ্ছিলো তাতিয়ানা।
বললাম— আমরা গরীব দেশ যে, এজন্য।
‘আমরা কেন গরীব’, এটা ছিলো তাতিনের পরের প্রশ্ন।
‘তুমি আরো বড় হলে বুঝতে পারবে’, বললাম আমি।
এরপর ছোটরা কেন জানতে পারবে না, বড় হতে হবে কেন এই টাইপ আরো বহু আলোচনা হলো। তারপর ওর নিজের গল্পে ফেরত গেলাম আমরা।
এখন আমি যদি ওকে বলি যে দূর্নীতিবাজদের কারণে আমরা গরীব, সেটা মানুষ সম্পর্কে ওর ভেতরে একটা নেগেটিভ ইমেজ তৈরি করবে। এসব ধারনা ওর সুন্দর পৃথিবীটা ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দিবে যা ক্রিয়েটিভ হওয়ার পথে বাঁধা সৃষ্টি করবে।
১৬ বছরের নিচের যাদের বয়স, তাদের পৃথিবীটা সুন্দর ও স্বপ্নীল রাখা জরুরী।