প্যারেন্টিং - ৪৫

হিউম্যানরে আপনি একটা বায়োলজিক্যাল কম্পিউটার ভাবতে পারেন। মানে, কর্মপদ্ধতির দিক থেকে। আসলে কম্পিউার জিনিষটাই আমরা তৈরি করেছি নিজেদের মত করে। তো, কম্পিউটারে যেমন দু'টো অংশ— হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার, মানুশেরও তাই। আমাদের শরীর হচ্ছে হার্ডওয়্যার, চিন্তা-ভাবনা-মনন-জ্ঞান-রে আপনি সফটওয়্যার ভাবতে পারেন।

শুধুমাত্র হার্ডওয়্যার (ব্রেইন, শরীর) ভালো হলেই হয় না, সফটওয়্যারও গুরুত্বপূর্ন। হার্ডওয়্যার+সফটওয়্যার, এই দুটোর উৎকর্ষতাই আমাদের উন্নত করে। এজন্য দেখবেন, আপনার চাইতে ভালো ব্রেইন (হার্ডওয়্যার) নিয়েও একজন রিকশা চালাচ্ছে কিংবা আপনার অধীনে কাজ করছে। কারণ, তার হার্ডওয়্যার ভালো কিন্তু সফটওয়্যারটা দুর্বল বা ভুলভাবে কোড করা হয়েছে।

মজার বিষয় হচ্ছে, এই কোড করার কাজটা মানুশ নিজেই করতে থাকে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সকে কোনকিছু শেখার জন্য যেমন প্রচুর ডাটা দিতে হয় (ডাটাসেট), তেমনি একটা বাচ্চাকেও ডাটা দিতে হয়। বাচ্চারা এই ডাটার একটা বড় অংশ তার চারপাশের থেকে গ্রহণ করে। এজন্য পরিবেশ এত গুরুত্বপূর্ন। সে যা দেখছে এবং যা শুনছে, সেগুলো থেকে ডাটা গ্রহণ করছে, এনালাইসিস করছে, শিখছে। বাচ্চাদের ব্রেইন বড়দের চাইতে প্রায় দ্বিগুন গতিতে কাজ করতে পারে। ফলে, তাদের শেখার গতিও দ্রুততর।

প্যারেন্ট হিসেবে আপনার কাজ হচ্ছে তার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার, দু'টোর উৎকর্ষেই সাহায্য করা। ব্রেইন ও শরীরের সঠিক গঠন নিশ্চিত করতে সুষম খাবার দেয়া, সফটওয়্যার অংশটা ঠিকঠাক ভাবে তৈরি হতে ভূমিকা রাখা, এসব আপনার দায়িত্ব। এই ভূমিকা আপনি কিভাবে সবচাইতে ভালোভাবে নিতে পারবেন, সেটা শেখানোই প্যারেন্টিং বিষয়ক জ্ঞানের উদ্দেশ্য।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।