অনেকেই আমাকে বলে— ভাই আপনি আমেরিকা চলে যাচ্ছেন না কেন?

আমেরিকা বা দেশের বাইরে যাওয়াটা এদেশের পাবলিকের কাছে একটা স্বপ্নের মতন ব্যাপার। কিন্তু, বাস্তবতা সেরকম নয়। ধরেন, আমি যদি আমেরিকা চলে যেতাম, তাহলে ভার্সিটিয়ানের মত প্রজেক্ট আমার করা হতো না। জীবন নিয়েই দৌড়ের উপরে থাকতাম।

আপনি ভাবছেন— ভালো জব করে প্রচুর উপার্জন করলে সম্ভব হতো? নাহ! আমার ভাই ঘন্টায় ২৫০ ডলার ইনকাম করে। ব্যস্ততার কারণে উনার পক্ষেও ভার্সিটিয়ানের মত প্রজেক্ট দাঁড় করানো সম্ভব না। উনি আমার প্ল্যান শুনে হাসতো, বলতো এত বিশাল জিনিষ না বানিয়ে ছোটখাটো কিছু বানাতে। দেশেও সফল অনেকে আমাকে একই উপদেশ দিয়েছে। ছোটখাটো কিছু তো ক্লায়েন্টদের জন্য সবসময়ই বানাচ্ছি। বড় কিছু বানানো তো একটা স্বপ্নের ব্যাপার। স্বপ্নের সাথে তো আর কম্প্রোমাইজ চলে না।

কয়েক বছর আগে পরিচিত এক ভাই আমেরিকা চলে গেলেন। উনারও এধরনের প্রজেক্ট করার স্বপ্ন ছিলো। ভাবছিলেন আমেরিকা গেলে অনেক সুযোগ পাবেন। হয়েছে উলটা। এখন আমাকে বলে— 'ভাই, সময়ই নাই আর। কোনকিছু করার সময় নাই। আমার সব স্বপ্ন শেষ।'

দেশে ফিরে আসতে বললে বলে— "এটা সম্ভব না। বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে যাওয়াটা হচ্ছে ওয়ান ওয়ে টিকেট। যাওয়া যায়, ফেরা যায় না।"

হ্যাঁ, চলে গেলে অনেক ভালো থাকবো হয়তো। কিন্তু ভার্সিটিয়ানের স্বপ্নটা আর বাস্তবে আসবে না। তাছাড়া, দেশে বসেই তো আমি আমেরিকার অফিস চালাচ্ছি। আমাকে যেতে হবে কেন? রিমোট রিক্রুটমেন্ট, রিমোট অফিস ম্যানেজমেন্ট, রিমোট প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট আমাদের অন্যতম কয়েকটা প্রোডাক্ট। আমাকেই যদি আমেরিকার অফিস আমেরিকায় গিয়ে চালাতে হয়, তাহলে এসব বানাচ্ছি কেন?

এমন না যে আমেরিকা বা দেশের বাইরে যাবো না। ভার্সিটিয়ানের জন্য আমাকে আমেরিকা ও ইউরোপ ঘুরতে হবে। যখন সময় আসবে যাবো।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।