প্রযুক্তি বিষয়ে (বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তি) বাংলা বই না পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম প্রায় ২০ বছর আগে। তাও কেনা বন্ধ করিনি। তখন ইন্টারনেট এত এভেইলেবল ছিলো না। ইংরেজী বইগুলোও ওভাবে পাওয়া যেত না। বাধ্য হয়েই প্রোগ্রামিং এর উপরে বাংলা বই কিনতাম। একবার ৭০০/৮০০ পৃষ্ঠার একটা বই কিনে দেখি পুরো বইটাই সোর্সকোড প্রিন্ট করে দেয়া। সম্ভবত কোন ওপেনসোর্স সফটওয়্যারের কোড কপি-পেস্ট করে বই বানিয়ে ফেলেছিলো। বইটার লেখক ছিলেন সেসময়ের একজন নামকরা প্রযুক্তি লেখক। প্রকাশ করেছিলো ঐসময়ের এক পাবলিকেশন যারা প্রযুক্তি বিষয়ক বই প্রকাশের জন্য বিখ্যাত ছিলো। সেই নামকরা লেখকের আজ কোন অস্তিত্ব নেই, প্রকাশনীটাও হারিয়ে গিয়েছে। এধরনের দুইনাম্বারী করে কেউ কখনো টিকে থাকতে পারে না।

এদেশে ননফিকশন লিখে কেউ কোটিপতি হয়নি। সেই দিন এখনো আসেনি। তাহলে খামোখা কেন পাবলিক এসব করতে যায়? আগের পোস্টে ব্লকচেইন বিষয়ক যে বইটার কথা বলেছি, এটা করে লেখকের কী লাভ হয়েছে? বইটার লাখ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে নাকি উনাকে কেউ ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে চিনেছে? ১৫/২০ বছর আগের তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক বই লিখতে গিয়ে যারা এধরনের অসততার আশ্রয় নিয়েছিলো, তাদের কেউ এখন চিনে?

যে বিষয়ে আপনার জ্ঞান কম সেই বিষয়ে বই লেখা, বিশেষ করে বিদেশী কোন বইরে অনুবাদ করে নিজের নামে ছেড়ে দেয়া একধরনের ক্রাইম। এই ক্রাইম এখন অনেকেই করতে শুরু করেছে। দুঃখজনক!

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।