প্যারেন্টিং - ৩৫

আপনার বাচ্চার পড়ালেখার বিষয়ে স্কুল-কলেজের উপরে শতভাগ নির্ভর করবেন না। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষা-ব্যবস্থা ও স্কুল-কলেজের যে অবস্থা, তাতে কোন ভাবেই আর ভরসা করা যায় না। এর সাথে যোগ হয়েছে চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের পরিবর্তন। যে ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, তাতে বর্তমান পড়ালেখা কতটুকু কাজে লাগবে; বলা কঠিন। তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নিজে পড়ানো শুরু করেন, বিভিন্ন ধরনের স্কিল ডেভেলপে সাহায্য করেন বাচ্চাদের। শুধু সার্টিফিকেট দিয়ে এখনি কিছু হয় না, ভবিষ্যতে কী হবে ভাবেন। আমরা স্কিলের যুগে প্রবেশ করছি যেখানে সার্টিফিকেটের ভূমিকা প্রবেশপত্র/টোকেনের মত হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। সার্টিফিকেটে কী লেখা আছে তার উপরে নির্ভর করে কেউ জব দিচ্ছে না। ফলে, শতভাগ ফোকাস এই দিকে নষ্ট করে ফেললে বিপদে পড়তে হবে ভবিষ্যতে।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অবশ্যই নিতে হবে, কিন্তু এটাকেই সব ভাবা যাবে না। আমি বরং বলবো প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনাটাকে অপশনাল হিসেবে নিতে। পাশাপাশি স্কিল ডেভেলপমেন্টে মূল জোর দিতে হবে। এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের যুগে কোন ধরনের স্কিল ডেভেলপ করা উচিত তা বুঝতে চোখ-কান খোলা রাখুন। বিদেশী মিডিয়া ও আপডেটেড বইপত্র পড়া শুরু করেন। আপনার নিজের ক্যারিয়ারেও এটা কাজে দিবে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিনে সার্ভাইভ করার জন্য আপনার বাচ্চার কী শেখা উচিত, কী জানা উচিত, কোন স্কিল থাকা উচিত, এই গাইডলাইন নিজেই তৈরি করার চেষ্টা করুন।

পুনশ্চঃ আমরা চেষ্টা করছি ভার্সিটয়ান থেকে এরকম একটা গাইডলাইন দাঁড় করাতে। প্যারেন্টিং বইটা লেখা শেষ হতে হতে আশা করি গাইডলাইনটা দাঁড়িয়ে যাবে অনেকটাই। চাইলে আপনিও আমাদের হেল্প করতে পারেন। অনেক লোক মিলে এই বিষয়টা নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করলে খুব দ্রুতই ভালো কিছু দাঁড় করানো সম্ভব।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।