একটা লেভেল পর্যন্ত এডুকেশন ও জ্ঞান না থাকলে তথ্য-প্রযুক্তি আপনার উপকারের চাইতে অপকার বেশী করবে। এমনকি এটা ধ্বংসের কারণও হতে পারে। খেয়াল করে দেখেন, কারা তাদের বাচ্চাদের হাতে সোশ্যাল মিডিয়া তুলে দিচ্ছে। ইউটিউব চ্যানেল খুলে দিচ্ছে। টিকটকারদের দিকে তাকান। প্রায় সকল টিকটকারই লো-ক্লাস ও লোয়ার মিডল ক্লাস। একদল কনটেন্ট বানাতে সারাদিন ব্যস্ত, আরেকদল সারাদিন সেগুলো কনজিউম করতে ব্যস্ত। যাদের থাকার কথা খান একাডেমীতে, ইডিএক্সে, য়্যুডেমিতে, যাদের ইউটিউবে টিউটোরিয়াল ও শিক্ষামূলক কনটেন্ট খোঁজার কথা, তারা কী কনটেন্ট কনজিউম করছে খেয়াল করলেই বুঝবেন ধ্বংসটা কোন দিক থেকে হচ্ছে।

আমি বলছি না যে ইউটিউবে কনটেন্ট বানানো খারাপ। কিন্তু, সেটা সবার জন্য না, সব বয়সের জন্য না। ইউটিউব, ফেসবুকে একাউন্ট করার জন্যও একটা নির্দিষ্ট বয়স লাগে। আর বাংলাদেশে দেখেন, বাচ্চারা টিকটক করছে, ইউটিউবে চ্যানেল খুলছে। গত দুই বছরে স্কুল-কলেজগুলো সব বন্ধ করে দেয়ার পর অনলাইন ক্লাশ করতে গিয়ে বাচ্চাদের হাতে ফেসবুক তুলে দিলো এদেশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলো। সচেতন অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে বাচ্চাদের ফেসবুক একসেস করতে দিলেও নিজেরা সবসময় মনিটরিং এ থাকেন। অসচেতনরা তা করেন না। এই অসচেতনদের অধিকাংশই লো-ক্লাস, লোয়ার মিডল ক্লাসের। এরা যে বাচ্চাদের ধ্বংস হতে দিতে চায়, এমন না। এরা আসলে জানে না। এদের সেই শিক্ষা ও জ্ঞানটুকু নেই।

প্রযুক্তির অপব্যবহারের ফল যে কতটা খারাপ হতে পারে সেটা বুঝার মত জ্ঞান যাদের নেই, তাদের জন্য প্রযুক্তি অভিশাপ। এই অভিশাপের ফল এরা টের পাবে আরো পনের/বিশ বছর পরে।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।