চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা ও কনটেন্ট নিয়ে কাজ করছি প্রায় এক যুগ হয়ে যাচ্ছে। এতদিন অনেক ধরনের বাঁধা ছিলো, বিশেষ করে টেকনোলজিক্যাল। জাকারবার্গের মেটাভার্স এক্ষেত্রে পৃথিবীকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেল (কমেন্টে একটা ভিডিও দিয়েছি, দেখতে পারেন)।
চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য VR (Virtual Reality) একটা গুরুত্বপূর্ন উপাদান। শিক্ষাক্ষেত্রে VR এর ব্যবহার বৈপ্লবিক একটা ব্যাপার হবে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ঢুকে যখন আপনি একাডেমিক কনটেন্টগুলো ভিজ্যুয়ালাইজ করবেন, সেটার ব্যান্ডউইথ অনেক উচ্চ, যা দ্রুত শেখার ব্যাপারে হেল্প করবে। এই ব্যান্ডউইথ বলতে তথ্য গ্রহণ করার গতি বুঝিয়েছি (ইলনমাস্কও এই টার্মটা ব্যবহার করে দেখবেন)। আমরা যখন পড়ি তখন বই/লেখা থেকে খুবই ধীরগতিতে তথ্য নিতে পারি। ভিজ্যুয়ালাইজেশন এই গতি বাড়িয়ে দেয়। এজন্য যাদের কল্পনা শক্তি যত ভালো সে তত দ্রুত শিখতে পারে। VR এই জায়গাটাতে সবাইকে সাহায্য করবে। সকলেই খুব দ্রুত তথ্য গ্রহণ করতে পারবে, সহজে বুঝতে পারবে।
এডুকেশনাল VR কনটেন্টের একটা বিশাল মার্কেট আছে। একাডেমিক কনটেন্টের পরিমান এত বেশী যে, কয়েক মিলিয়ন 3D কনটেন্ট ডেভেলপার মিলে কাজ করলেও শত বছরে শেষ হবে না। তাছাড়া, নতুন নতুন কনটেন্টের চাহিদা তো আসবেই। তাই, যত বেশী ডেভেলপার হবে তত ভালো। আমাদের এখন মিলিয়ন মিলিয়ন কনটেন্ট ডেভেলপার লাগবে, কোটি কোটি কনটেন্ট রিসার্চার ও শিক্ষক লাগবে।
আমাদের একাডেমিক প্রজেক্ট ভার্সিটিয়ানের জন্য এধরনের প্রচুর কনটেন্ট বানাতে হবে। গবেষণা ও আইডিয়া নিয়ে বসে আছি, 3D কনটেন্ট ডেভেলপার দরকার এখন।