এডুকেশন সিস্টেম কেমন হওয়া উচিত? (৩)
লেভেল ভিত্তিক এডুকেশন সিস্টেমে প্রতিষ্ঠানের চাইতে গুরুত্বপূর্ন হবে শিক্ষক। এখন আমরা সিভিতে লিখি, কোন ক্লাশ পর্যন্ত কোন প্রতিষ্ঠানে ছিলাম। তখন সিভিতে দেখাবে- কোন সাবজেক্টের কোন লেভেল কোন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করেছি। প্রতিটা সাবজেক্টের কোন লেভেলে কোন শিক্ষক ছিলেন, সেটার একটা তালিকা থাকবে আপনার একাডেমিক হিস্টোরীতে। ঐ শিক্ষকদের ডাটাবেস থাকবে অনলাইনে। যে শিক্ষকের রেটিং যত বেশী হবে এবং স্টুডেন্টদের কাছে যত বেশী জনপ্রিয় হবে, তার মূল্য তত বেশী থাকবে। আবার, আপনি কার তত্ত্বাবধানে ছিলেন, এটাও গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠবে আপনার ক্যারিয়ারে। ফলে, সবচাইতে ভালো শিক্ষকদের কাছ শিক্ষার্থীদের ভীর বাড়তে থাকবে। সকল বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদেরকে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করবে। এতে শিক্ষকরা নিজেদের যোগ্যতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হবে। আর ভালো শিক্ষক মানেই ভালো ভালো শিক্ষা।
একটা প্রতিষ্ঠানে হয়তো সায়েন্সের শিক্ষকরা ভালো, আরেকটা প্রতিষ্ঠানে আর্টসের। আপনি পদার্থ বিজ্ঞান পড়তে হয়তো এক প্রতিষ্ঠানে যাবেন আর ভাষা শিখতে আরেক প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষার্থীদের আকর্ষন করতে ও ধরে রাখতে তখন প্রতিষ্ঠানগুলো বেশী মনোযোগী হবে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে অনেক কিছুই বদলে যাবে। তার সাথে তাল মিলিয়ে স্কুলিং সিস্টেমও বদলাতে হবে। ভবিষ্যতে পড়ালেখা শুধুমাত্র ফিজিক্যাল ক্যাম্পাস ভিত্তিক হবে না, অনলাইন এবং ভিআর/এআর মাধ্যমেও জ্ঞান অর্জনের অনেক সুযোগ তৈরি হবে। নতুন যে যুগে আমরা প্রবেশ করতে যাচ্ছি, সেখানে টিকে থাকার জন্য এফিশিয়েন্সি বাড়ানোর কোন বিকল্প নাই। সবচাইতে কম সময়ে ও কম খরচে যে যত বেশী যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে, সে তত সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে।
কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।