বাংলাদেশে মৃদু মৃদু ভূমিকম্প বাড়তেছে। এরপর বড় ধরনের একটা ভূমিকম্প হবে কিনা সেটা বিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবে। ভূমিকম্পে ঢাকার অধিকাংশ বিল্ডিং কলাপস করবে বলে অনেকদিন ধরেই বিশেষজ্ঞরা বলে আসতেছে। ভূমিকম্পের প্রথম ধাক্কায় যত লোক মারা যাবে তার কয়েকগুন বেশী মারা যাবে ধ্বংসস্তুপে আটকে থেকে। তাই এই ধ্বংসস্তুপের ভেতরে সার্ভাইব করা ও এর থেকে বের হয়ে আসার জন্য প্রস্তুতি রাখা মনে হয় ভালো। এ
আমরা একটা অদ্ভুত প্রজন্ম। আমরা রেডিও থেকে ইন্টারনেট ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের যুগ পর্যন্ত দেখছি। পাল তোলা নৌকা থেকে হাইড্রোফয়েল, গরুর গাড়ি থেকে ম্যাগলেভ ট্রেইন ও স্টারশিপ। গত ৩০/৪০ বছরে পৃথিবী যত দ্রুত পরিবর্তন হয়েছে এর আগে কখনো তা হয়নি। আমরা এই সময়টার সাক্ষী।ইউটিউবে মির্জা গালিবের 'আহ কো চাহিয়ে' শুনতেছিলাম। খুব ছোটবেলা পালতোলা নৌকায় চড়ার স্মৃতি আমার মনে আছে। এটা আমারে সেই
"এই অপদার্থ ছেলেকে দিয়ে কিছু হবে না, এবারো ডাব্বা মারবে। ক্লাশ টেস্টে খারাপ করেছে, স্কুল থেকে ডেকে পাঠিয়েছে। মাথা হেট হয়ে গেল", বলতে বলতে বাবা পাশের রুমে চলে গেল। লিয়ন তখন কাগজে আঁকিবুকিতে মনোযোগ দিলো। আজকাল আর বাবার কথা শুনে কষ্ট লাগে না, প্রথম প্রথম লাগতো। আসলে সে নিজের উপরেই খানিকটা বিরক্ত। কী হতো যদি তার ব্রেইনটা একটু ভালো হতো। "কিরে, মন খারাপ হয়েছে?", হঠাৎ ছোট চাচার কথা
দুইদিন ধরে ইপ্রাম'স ল (Yhprum's law) কাজ করতেছে (মার্ফি'স ল এর অপজিট)। এমনকি উবার পর্যন্ত কল করার পাঁচ/সাত মিনিটের ভেতরে হাজির (যেটা এখন রেয়ার ঘটনা)। রাইডার দেখি কিউট এক পিচ্চি ছেলে। ভাবলাম বয়স হয়তো ১৫/১৬ হবে, পরে জানলাম ২৭। আমার সাথে কিছু প্যাকেট ছিলো। এই ছেলে হাসি হাসি মুখে নেমে এসে নিজেই সব তুলে দিলো। গাড়িতে উঠে সাধারণত কথা বলি না, নিজের চিন্তায় ডুব দেই বা বই পড়ি। এই পিচ
দ্বিতীয় শহরের প্রবেশ পথে ইমিগ্রেশন অফিসার দু'জন এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। নিজেকে কেমন যেন অপরাধী অপরাধী লাগছে। তবে এখনো আমি জানি না কী আমার অপরাধ। দ্বিতীয় শহরের ব্যপারটায় একটু অপ্রস্তুত বোধ করছি। প্রথম শহরের নাগরিকত্বের সময় শেষ হয়ে গেলে সকলকেই শহর থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপরে যে আর কোন শহর থাকতে পারে এটা আমার চিন্তায় ছিলো না। যদিও কেউ কেউ দ্বিতীয় শহরের এই ব্যপারটা নিয়
বিজলি বাতির আবিষ্কার নিঃসন্দেহে বর্তমান সভ্যতার অন্যতম প্রধান আবিষ্কার। আলো তো আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু এই কৃত্তিম আলো এক প্রকার দূষণ সৃষ্টি করে আমাদের জন্য যেটাকে Light pollution বলা হয়। 'Light pollution is the presence of unwanted, inappropriate, or excessive artificial lighting', লাইট পলিউশন বুঝার জন্য উইকিতে দেয়া এই এক লাইনের সংজ্ঞাই যথেষ্ঠ। লাইট পলিউশন আমাদের জীবন-
একদিন এক তরুন এসে এক বৃদ্ধকে জিজ্ঞেস করলো, 'আপনি আমাকে চিনতে পেরেছেন?' বৃদ্ধ চশমা পরিষ্কার করে ভালো করে তাকিয়ে বললেন— 'নাহ! কে তুমি?' 'আমি আপনার একজন ছাত্র', বললো তরুন। 'কী করো তুমি?' 'আমি একজন শিক্ষক হয়েছি।' 'বাহ, আমার মত!', বৃদ্ধ আনন্দিত কণ্ঠে বললেন। 'হ্যাঁ! আসলে আমি শিক্ষক হয়েছি আপনাকে দেখে। আপনি আমাকে আপনার মত শিক্ষক হতে অনুপ্রানিত করেছিলেন।' বৃদ্ধ শিক্
বিশ্বব্যাপি যে রিসেশন শুরু হতে যাচ্ছে, আশা করি তা গ্রেট রিসেশনে পরিনত হবে না। তবুও সবচাইতে খারাপটা ধরে নেয়া ভালো। আজকে বিপদের পূর্বাভাস দেয়ার পরিবর্তে এধরনের বিপদে করণীয় কী হতে পারে তা নিয়ে কিছু ভাবনা শেয়ার করবো। ক) মানসিক প্রস্তুতি ধরেন আপনি জব হারিয়েছেন এবং পরিস্থিতি ঠিক হতে কমপক্ষে বছর খানেক লাগবে। মানে আগামী এক বছরে আপনার একই ক্যাটাগরির জব পাওয়ার সম্ভবনা কম। সেক্ষেত্রে
২০৫০ সাল। স্কুল-কলেজ, ব্যবসা-বানিজ্য, অফিস-আদালত সব ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ভার্চুয়াল স্পেসে হচ্ছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এতটাই উন্নতি লাভ করেছে যে- চোখ ও কান ব্যবহার করে অনুভব করা বাস্তব দুনিয়ার চাইতে এটা অনেক বেশী রিয়েল মনে হয়। অনেক মানুষেরই চোখে কিংবা কানে সমস্যা থাকার কারণে পৃথিবীকে ঠিকমত অনুভব করতে পারতো না। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির চিপ (VR Chip) মাথার কাছাকাছি কোথাও রাখলেই সেটা সরাসর
অলস বসে থাকলে আমার মাথায় নানা ধরনের গল্প ঘুরতে থাকে। অলস মস্তিস্ক যে শয়তানের কারখানা, এটা আমি তখন পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে যাই। তো একদিন এক রেস্টুরেন্টে ঢুকেছি। কেউ অর্ডার নিতে আসে না আমারো তাড়া নেই। শয়তানের কারখানায় নানা ধরনের গল্প তৈরি হতে লাগলো। ঐদিন মজার কিছু গল্প ঘুরছিলো। নিজে গল্প বানাই নিজেই হাসি। - এক্সকিউজ মী! রাগী রাগী এক মেয়েকে আমার টেবিলের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় আবি