যথেষ্ঠ সময় না থাকলে ফেসবুকে লেখালেখি রিস্কি
ফেসবুকে পোস্ট করার একটু পরেই যেসব লেখা অনলী মী করে ফেলি, সেগুলোর একটা কপি ত্রিভুজ ডট নেটে থাকে।
দু'টো কারণে ফেসবুকে কোন পোস্ট দেয়ার কিছুক্ষণের ভেতরে অনলী মী করি—
১) পোস্টে কমেন্ট করে লোকজন জবাব আশা করে কিন্তু আমার ফেসবুকে থাকার সময় হয় না বলে জবাব দিতে পারি না। এতে অনেকে মন খারাপ করে (অনেকে কমেন্ট ডিলিটও করে)।
২) ফেসবুকের অডিয়েন্সের ভুল বুঝার প্রবনতা বেশী, ফলে যথেষ্ঠ সময় না থাকলে ফেসবুকে লেখালেখি বিপদজনক। কিভাবে বিপদজনক তা পুরো লেখাটা পড়লে বুঝবেন।
প্রশ্ন আসতে পারে যে, অনলী মী-ই যদি করবো তাহলে পোস্ট দেই কেন? এই উত্তর পেতে হলে ফেসবুকের পজেটিভ ও নেগেটিভ দিকগুলো দেখতে হবে। অল্প কথায় বলি—
ফেসবুকে লেখালেখির পজেটিভ দিক:
১) এখানকার অডিয়েন্স অনেক বড়।
২) ফেসবুক বা এধরনের কোথাও না লিখে সরাসরি নিজের সাইটে কিছু লিখলে সেই লেখা চুরি ঠেকানো কঠিন।
ফেসবুকে লেখালেখির নেগেটিভ দিক:
১) এখানে বড় লেখার পাঠক কম, ফলে ছোটছোট লেখা দিতে দিতে লেখক স্বত্বা মারা যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
২) এখানে লেখালেখি মূলত ট্রেন্ড/ইস্যু নির্ভর, ফলে লেখালেখির লক্ষ্য ঠিক রাখা কঠিন।
৩) ট্রেন্ড/ইস্যু খেয়াল না রেখে এখানে লেখালেখি রিস্কি। পাবলিক আপনার লেখারে কোন একটা ট্রেন্ড/ইস্যুর কনটেক্সটে দেখে ভুল বুঝতে পারে।
৪) এখানে লেখা গোছানো যায় না, ক্যাটাগরি নাই। ফরম্যাটিংও করা যায় না।
৫) ফেসবুকে পুরোনো লেখা খুঁজে বের করা কঠিন, এমনকি পুরানো পোস্ট কপি-পেস্ট করে ব্যাকাপ নেয়াও প্রায় অসম্ভব।
৬) সম্পর্ক, বন্ধুত্ব ও নেটওয়ার্কিং এর জন্য ফেসবুকের নেতিবাচক প্রভাব আছে। লেখালেখির ক্ষেত্রে এই নেতিবাচকতা আরো বাড়ে।
এই নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আগে বেশ কয়েকবার অল্প কথায় স্টেটাস দিয়েছিলাম। একটা বিস্তারিত আর্টিকেল লিখবো সময় পেলে।
ব্যস্ততা অনেক বেড়ে যাওয়ার কারণে ফেসবুকে আরো কম আসা হবে। ভালো থাকবেন সবাই।