জিনিয়াস

"এই অপদার্থ ছেলেকে দিয়ে কিছু হবে না, এবারো ডাব্বা মারবে। ক্লাশ টেস্টে খারাপ করেছে, স্কুল থেকে ডেকে পাঠিয়েছে। মাথা হেট হয়ে গেল", বলতে বলতে বাবা পাশের রুমে চলে গেল। লিয়ন তখন কাগজে আঁকিবুকিতে মনোযোগ দিলো। আজকাল আর বাবার কথা শুনে কষ্ট লাগে না, প্রথম প্রথম লাগতো। আসলে সে নিজের উপরেই খানিকটা বিরক্ত। কী হতো যদি তার ব্রেইনটা একটু ভালো হতো।

"কিরে, মন খারাপ হয়েছে?", হঠাৎ ছোট চাচার কথা শুনে চমকে উললো সে।

"নাহ চাচ্চু, অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। এখন আর মন খারাপ হয় না। আসলে আমাকে দিয়ে কিছু হবে না, অপদার্থ একটা"।

"কে বলেছে কিছু হবে না, এই যে কত সুন্দর একটা আর্ট করে ফেললি। এটা দেখলে ভিঞ্চি সাহেবও চেয়ার থেকে পড়ে যাবে"।

"ধুর, কি যে বলো! আর সুন্দর এঁকে কী লাভ বলো, পরীক্ষায় তো পাই শুধু গোল্লা। আমি হয়তো একটা অপদার্থই..."।

"আরহে না, তোর হবে। নিজের উপরে একটু বিশ্বাস বাড়াতে হবে, এই যা...", বলে চাচ্চু পিঠে হাত রাখলো।

লিয়নের এবার কান্না পেয়ে গেল, খাতা কলম ছুঁড়ে ফেলে রুম থেকে বের হয়ে গেল। বাবা অফিসের ফাইল পত্র নিয়ে বসেছে, মা টিভিতে সিরিয়াল দেখছে। মাথা নিচু করে নিঃশব্দে লিভিং রুম পেরিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল সে, যেন এই মুখ আর কাউকে দেখাতে না পারলেই বাঁচে। অন্যদিনগুলোতে বের হওয়ার সময় খেতে বলতো মা, আজকে তাও বললো না। লিয়নের আবার কান্না পেয়ে গেল, লিফটের ভেতরে ঢুকে কোন ফ্লোরের বাটন না চেপেই দাঁড়িয়ে রইলো কিছুক্ষণ। ইশ, যদি লিফটটা একটা স্পেসশীপ হয়ে যেত আর বাটন চাপ দিলেই অন্য কোন গ্রহে চলে যাওয়া যেত! কী হবে পৃথিবীতে থেকে, একমাত্র ছোট চাচ্চু ছাড়া কাউকে সে মিস করবে না। ওহ না, ভুল হলো। আরো দুজনকে মিস করবে, প্রীতম আর শাওন। এর ভেতরে শাওন এই বিল্ডিং-এরই দশ তলায় থাকে। লিফটের বাটন চেপে অন্য কোন গ্রহে যাওয়া না গেলেও শাওনের বাসায় যাওয়া যায়। দশ চাপবে কি চাপবে না ভাবতে গিয়ে গ্রাউন্ড ফ্লোর চাপতে যাবে এমন সময় দরজা খুলে গেল, চাচ্চু দাঁড়িয়ে লিফটের সামনে।

"কি রে, লিফটে এসে পালিয়েছিস? এটা তোর তোরাবোড়া গুহা"? বলেই চাচ্চু চোখ টিপে দিলো।
"কি যে বলো না তুমি, পালাবো কেন, তুমি কোথায় যাবে"?
"একটু নিচে যাবো, চল তোকে স্পেশাল চা খাওয়াবো। মন ভালো হয়ে যাবে"।
"চা খেতে ইচ্ছে করছে না চাচ্চু, আমি একটু দশ তলায় যাবো। শাওনের বাসা"।
"আচ্ছা যা, আমি হেঁটে নেমে যাচ্ছি", বলে চাচ্চু সিঁড়ি ধরে নামতে শুরু করলো। ইচ্ছে করেই চাচ্চুকে শাওনের কথা বলেছে, আসলে চাচ্চু সামনে থাকলে যেকোন সময় কেঁদে ফেলতে পারে। বিশ্রি একটা ব্যাপার হয়ে যাবে তাহলে।

সিদ্ধান্ত বদল করে ছাদে যাবে ঠিক করে টপ ফ্লোর চেপে লিফটের ইন্ডিকেটরের দিকে তাকিয়ে রইলো লিয়ন। চার-পাঁচ-ছয়-সাত-আট-নয়-দশ-এগারো-বারো-তের...

বারো-তের? চমকে গেল শাওন! ওরা থাকে পাঁচতলায়, লিফটে চার বা ফোর্থ ফ্লোর। বিল্ডিংটা বারো তলা, সেই হিসেবে এগার হচ্ছে টপ-ফ্লোর। বারো-তের হচ্ছে কী করে? ইমার্জেন্সি বাটন চেপে ধরলো সে, কাজ হচ্ছে না। ততক্ষণে লিফটের ইন্ডিকেটর যেন পাগল হয়ে গিয়েছে। আঠারো-উনিশ-বিশ-একুশ... দুইশো বারো-দুইশো তের... দশ হাজার তিনশো একুশ-দশহাজার তিনশো বাইশ... দুই লক্ষ বায়ান্ন হাজার চারশত তের। বেড়েই চলছে রিডিং।

মনে হচ্চে অনন্তকাল ধরে লিফটে দাঁড়িয়ে আছে লিয়ন, ওদের লিফটের ইন্ডিকেটরে দু'টো ডিজিট ছিলো। সর্বোচ্চ নিরানব্বই পর্যন্ত হওয়ার কথা। দুই লক্ষ হয় কিভাবে? লিফট কি চলছে না দাঁড়িয়ে আছে তাও বুঝতে পারছে না, ভেতরে কেমন যেন একটা মিষ্টি গন্ধ। কী করবে ভেবে পাচ্ছিলো না লিয়ন, লিফটের দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছে সে। ঘুম ঘুম পাচ্ছে ওর। আধা খোলা চোখে খেয়াল করলো ইন্ডিকেটরের স্পিড কমতে শুরু করেছে। দুই কোটি বারো লক্ষ তের হাজার দুইশত তিনে এসে থেমে গেল। মিষ্টি মিষ্টি গন্ধটাও বেড়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। দরজা খোলার আওয়াজ পাচ্ছিলো লিয়ন, এরপর আর কিছু মনে নেই।

অদ্ভুত সব স্বপ্ন দেখছিলো লিয়ন। সেই স্বপ্নের ভেতরেই টের পাচ্ছিলো এগুলো স্বপ্ন। ধীরে ধীরে ঘুম থেকে জেগে উঠে চোখ খুললো। তারপর যা দেখলো, একদমই প্রস্তুতছিলো না সে। উজ্জল আলো আর সাদা সাদা ঘন ধোঁয়া চারদিকে। এর মাঝে একটা সাদা বেডে শুয়ে আছে ও। উপরে অপারেশন থিয়েটারের মত উজ্জল আলো। কোথায় আছে বুঝতে পারছে না সে, চারদিকে সাদা ঘন ধোঁয়া আর লাল নীল বিজলের মত আলোর ঝলকানি। মাথার উপরে অদ্ভুত দর্শন একটা যন্ত্র দেখতে পেল। নড়তে গিয়ে বুঝলো বেডের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে ওকে। স্বপ্নটাই বরং এর চাইতে স্বপ্নটাই কম অদ্ভুত ছিলো।

"আমি কোথায় আছি? প্লিজ কেউ বলুন আমি কোথায় আছি, আমার কী হয়েছে? লিফট কি ছিঁড়ে পড়ে গিয়েছিলো? আমি কি মারা গিয়েছি", এক নিঃশ্বাসে এইটুক বলে ফেললো। এছাড়া মাথায় আর কিছু কাজ করছে না।

"তুমি মারা যাওনি, শুধুমাত্র দুই কোটি বারো লক্ষ তের হাজার দুইশত তিন আলোবর্ষ দূরে চলে এসেছো পৃথিবী থেকে"।

"মানে? কিভাবে? কেন? কে তোমরা? কী চাও? কেন এনেছো আমাকে? ছেড়ে দাও.. চাচ্চু... বাঁচাও আমাকে"।

ভয় পেয়ো না খোকা, তোমাকে আমাদের নিরাপদ স্পেস শীপে করে আনা হয়েছে, আবার পৃথিবীতে পৌঁছে দেয়অ হবে"।

"কী চাও তোমরা আমার কাছে"? ভয়ার্ত কন্ঠে জানতে চাইলো লিয়ন।
"কিছু চাই না, শুধু তোমার ব্রেইনে ছোট একটা অপারেশন করবো। আর তুমিই প্রথম না, এর আগে নিউটন, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, আইনস্টাইন সহ অনেককে এনেছিলাম আমরা। এনে ব্রেইনের ক্ষমতা বাড়িয়ে পৃথিবীতে ছেড়ে দিয়ে এসেছি।

"মানে? মানে তোমাদের জন্যই তারা এত জিনিয়াস"?

"ঠিক ধরেছ, এখন আমাদের একটু কাজ করতে দাও। কাজ শেষ হলেই তোমাদের বাড়ির ছাদে ফেরত দিয়ে আসবো। তবে আমাদের কথা কাউকে বলো না, বললেও অবশ্য কেউ বিশ্বাস করবে না", বলে অদ্ভুত ভঙ্গিতে হাসতে শুরু করলো কণ্ঠটা। কথা বলার সময় একজনের কণ্ঠ শোনা গেলেও হাসিটা মনে হচ্ছে হাজার হাজার কণ্ঠ থেকে আসছে। ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না লিওনের, আবার অবিশ্বাসও করতে পারছে না। মাথার চুল কাটতে শুরু করলো একটা মেশিন। পৃথিবীর ট্রিমার মেশিনের মতই শব্দ করছে যন্ত্রটা। স্বপ্ন না তো ব্যাপারটা?

মিষ্টি গন্ধ আবার বাড়তে শুরু করলো। পৃথিবী সাদা হয়ে গেল ওর।

"এই লিওন, লিওন। ছাদে শুয়ে আছিস কেন? কী হয়েছে তোর? মাথার চুল সব গেল কোথায় তোর"? শাওনের ক্রমাগত ডাকাডাকিতে জ্ঞান ফিরে পেল লিওন। মাথায় হাত দিয়ে দেখলো সত্যিই চুল নাই একটাও। মাথাটা কেমন ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে, কি অদ্ভুত ব্যাপার। তাহলে স্বপ্ন ছিলো না, সত্যিই এলিয়েনরা ধরে নিয়ে গিয়েছিলো তাকে?

"কিছু হয়নি, রাতে বাতাস খেতে এসে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম", বলেই সে হাঁটা ধরলো।

"আরে যাচ্ছিস কোথায়, কী হয়েছে তোর? চুল কোথায় গেল বলে যা অন্তত", পেছন থেকে শাওন বলেই যাচ্ছে।

আপাতত কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না লিওনের। পুরো ঘটনাটার ধাক্কা এখনো সামাল দিতে পারেনি সে। লিফটের সামনে এক মূহুর্তব দাঁড়িয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামার সিদ্ধান্ত নিলো। বাসায় দরজা খুলে দিলো চাচ্চু।

"কি রে, তোর চুল কোথায় গেল? চোরে নিয়ে হারিয়ে ফেলেছে বুঝি"? বলেই চোখ টিপে দিয়ে হাসতে শুরু করলো চাচ্চু।
"কিছু না চাচ্চু, চুল ফেলে দিয়েছি। এখন একটু ঘুমাবো", নিজের রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলো লিয়ন। ছোট চাচ্চুকে বলবে কিনা ভাবছিলো এক মূহুর্ত। কিন্তু ওর ডায়েরিতে লিফটের স্পেসশীপ হয়ে যাওয়ার কল্পনা পড়ে হো হো করে যে হাসি দিয়েছিলো, আর ভরসা পেল না। তারচাইতে শুয়ে থাকা যাক। পুরো ব্যাপারটা নিয়ে ভাবা দরকার।

কি মনে করে বিছনায় না শুয়ে ম্যাথ বইটা হাতে নিলো, একট চ্যাপ্টার খুলে মনোযোগ দিয়ে পড়লো কিছুক্ষণ। কি আজব ব্যাপার, আগে যেরকম কঠিন লাগতো সেরকম লাগছে না। ক্লাশ করে এসে কখনো অংক নিয়ে বসেনি ও, আজকে খাতা নিয়ে বসে গেল।


বাবা আজকে অনেক খুশি, আনন্দে অফিসের সবাইকে বাসায় দাওয়াত দিয়েছে। অসম্ভব ভালো রেজাল্ট করেছে তার ছেলে। একটু পর পর রুমে এসে দেখে যাচ্ছে ওকে। ভালো রেজাল্টের জন্য কী গিফট চায় জানতে চাচ্ছে।

"আহ বাবা, বিরক্ত করো না তো! জটিল সব অংকের ধাঁধা সমাধান করছি ইন্টারনেটে"।
"আচ্ছা বাবা, কর। গেস্টরা চলে আসবে ঘন্টাখানেকের ভেতরেই। তার আগেই শেষ করে রেডি হয়ে নিস। আজকের পার্টির প্রধান আকর্ষণ হচ্ছিস তুই"।

চল্লিশ বছর পর, বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের একজন লিওন। আমেরিকায় একটা সম্মেলনে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলো। এমন সময় দেশ থেকে চাচ্চুর অসুস্থ হওয়ার খবর আসলো। সব ফেলে চাচ্চুকে দেখতে ছুটে এসেছে। হসপিটালের বেডে শুয়ে একটা বই পড়ছিলো চাচ্চু, লিয়নকে দেখেই উঠে জড়িয়ে ধরলো।

"কত বছর পর, কত বড় হয়ে গিয়েছে আমাদের লিও, কেমন আছিস রে"?

"কী হয়েছে তোমার, এ্ই অবস্থা কেন?" ঠিক ছোটবেলার মত করেই জানতে চাইলো লিয়ন। দেশ ছাড়ার পর পাঁচ/ছয় বছর পর পর একবার দুইবারের বেশী দেশে আসা হয়নি ওর। কিভাবে কিভাবে সময়গুলো সব চলে গেল।

"ও কিছু না, বয়স হয়েছে। পৃথিবী ভ্রমণ শেষ, এবার অন্য কোথায় ভ্রমণে যাওয়ার সময় হলো.."।

"এভাবে বলো না চাচ্চু, আমরা চাই তুমি আরো অনেকদিন আমাদের সাথে ভ্রমণ করো"।

"হ্যাঁ, তোর সাথে লিফটে করে দুই কোটি বারো লক্ষ তের হাজার দুইশত তিন আলোবর্ষ দূরে যাওয়া যায়...", বলে চাচ্চু চোখ টিপে দিলো।

চমকে উঠলো লিয়ন। এই ঘটনাটা সে কাউকে বলেনি। এমনকি চাচ্চুকেও না। ডায়েরির কল্পনা থেকে শুধুমাত্র লিফটের স্পেশ শিপ হয়ে যাওয়ার কল্পনা জানার কথা, কিন্তু দুই কোটি বারো লক্ষ তের হাজার দুইশত তিন আলোবর্ষ....!

"তুমি কিভাবে জানো....", লিয়ন শেষ করতে পারলো না কথাটা। লিফটের ঘটনার ব্যাখ্যা এতদিন পর ধরতে পেরে হাঁ করে তাকিয়ে রইলো হসপিটাল বেডে শুয়ে থাকা শুভ্র কেশ বৃদ্ধের দিকে...

"লিফটের ভ্রমণটা কাজে লেগেছে তাহলে, তাই না?", ধবধবে সাদা চুলের হাসিখুশি মানুশটা মিটি মিটি হাসছে।

ভোর চারটায় মারা গেলেন চাচ্চু। হসপিটালের লিফটে ঢুকে কোন বাটন না চেপেই দাঁড়িয়ে আছে লিয়ন। লিফটের দরজাটা হঠাৎ খুলে সেইদিনের মত ছোট চাচ্চুকে দেখতে পেলে চোখের পানি লুকানোর জন্য আজকে আর পালিয়ে যেত চাইতো না ও!

* প্রথম প্রকাশ ২০১৪ সালে, বইপোকাদের গল্প বইয়ে।
ত্রিভুজ আলম

ত্রিভুজ আলম

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখালেখি

লেখকের আরো লেখা

ত্রিভুজ আলম কমিউনিকেশন স্কিল - ১

কিছু মানুষকে দেখবেন আপনার খুব ভালো লাগে আর কিছু মানুষকে বিরক্তিকর। কিছু মানুষ সহজেই আপনাকে সব বুঝিয়ে দিতে পারে আর কিছু মানুষ সারাদিন কথা বলেও বোঝাতে প...

ত্রিভুজ আলম বারমুডা ট্রায়াঙ্গল - একটি সফল বানিজ্যিক রহস্য!

মানুষ স্বভাবগত ভাবেই রহস্য প্রিয়। রহস্য প্রিয় মানুষেরা রহস্যের খোঁজে বের হয়ে যুগে যুগে পৃথিবীর জন্য অনেক কিছু করেছেন তাই রহস্যপ্রিয়তাকে মানুষের স্বভাব...

ত্রিভুজ আলম ভাইরাসমুক্ত নিরাপদ কম্পিউটার

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের ভেতরে এরকম কাউকে খুঁজে পাওয়া দুস্কর যিনি কখনো ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারের পেছনে অনেক টাক...